আজকের এই ডিজিটাল যুগে facebook id প্রায় সকলেরই আছে একজন ব্যাক্তিকে যদি জিজ্ঞেস করেন তার ফেসবুক আইডি আছে কিনা? এবং উত্তর না হবে এটা খুজে পাওয়া দুল্লভ। কারন আজকাল ব্যক্তিগত প্রয়োজনে থেকে শুরু করে ব্যবসায়িক সহ প্রায় সব ক্ষেত্রেই এখন ফেসবুক এর মাধ্যেমে প্রয়োজন মিটাচ্ছে। এই যেমন massage থেকে শুরু করে,Audio call,video call সবকিছুই। আর ফেইসবুকের জনপ্রিয়তার প্রমান আপনারা গত কয়েক বছরের দিকে তাকালেই পেয়ে যাবেন। ইন্টারনেট ওয়ার্ল্ড জায়েন্ট, গুগলকে কে না চিনে, সেই গুগলকে পিছনে ফেলে সবচেয়ে বেশি ভিজিটেড সাইট হিসেবে উঠে এসেছে ফেইসবুক । অবশ্য ২০১০ এ এই ফেইসবুক ১০ এর ঘরেই ছিল। আজকে আমরা আলাপ করবো ফেইসবুক আইডির নিরাপত্তা বিষয় নিয়ে। নিচে দেখা যাক এর প্রতিরোধের কিছু উপায়, যা অবলম্বন করলে হয়তো আপনি ক্ষতি থেকে আপনার আইডি রক্ষা করতে পারবেন।
ফেসবুক আইডির নিরাপত্তায় ৭ টি করনীয় বিষয়:
১. হুমকি ধামকি চলবেনাঃ
কাউকে ভুলেও, মজা করেও ফেইসবুকে থ্রেট দেওয়া যাবে না। আবার গালিগালাজ করা থেকে ও বিরত থাকতে হবে। নাহলে কেউ যদি রিপোর্ট করে আইডির আশা ছেড়ে দিতে হবে।
২. শক্তিশালী পাশওয়ার্ড প্রয়োগঃ
কোন আইডির সিকিউরিটি নিশ্চিত করতে মিশ্র ধরনের পাশওয়ার্ড এর দিকে নজর দিতে হবে। মানুষ সবসময় যে কমন ভুলটা করে তা হল নিজের ডিটেলস দিয়ে পাশওয়ার্ড দেয়, কিন্তু তা মোটেও নিরাপদ না।
যেমনঃ নিজের নামের অংশ, পরিবারের কারো পছন্দের নাম, নিজের জন্ম তারিখ কিংবা ফোন নাম্বার এই ধরনের তথ্যাদি। মনে রাখবেন পাসওয়ার্ড দিতে হলে বড় হাতের এবং ছোট হাতের অক্ষর যেকোন অংক, স্পেস ইত্যাদি ব্যবহার করতে হবে। আর স্পেশাল চিহ্ন রয়েছে আপনি রাখতে পারেন। যথাঃ *, %, # ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করুন। পাসওয়ার্ডের মোট সংখ্যা আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কমপক্ষে ৬ সংখ্যার পাশ দিতে হলেও চেষ্টা করুন যাতে মিনিমাম ১০-১৫ অংক বিশিষ্ট হয়। আর পাসওয়ার্ডকে যাতে ভুলে না যান সেজন্য অন্য কোথাও নিরাপদে সংরক্ষন করুন।
৩. নিয়মিতভাবে পাশওয়ার্ড পরিবর্তনঃ
নিয়মিত ভাবে নতুন পাসওয়ার্ড দিন, দেখবেন তাতে পাশ ফাস হলেও ভয়ের কিছু থাকবেনা। আর পাসওয়ার্ড ভুলে গেলে Forgot Password নামক অপশনটিতো অপেক্ষা করছেই আপনাকে হারানো পাশ ফিরে পেতে।
৪. ব্যাক্তিগত তথ্য সম্বন্দে সাবধানতাঃ
প্রোফাইলে এমন কোন তথ্য দিবেন না যাতে দুষ্টচক্র এর হাতে আপনার তথ্য পাচার হয়ে যায়, আর সেই তথ্য থেকেই আপনার পাশওয়ার্ড ব্রেক হয়ে যায়। এক্ষেত্রে নিরাপদ হল সেইসব তথ্য কাউকে না দেওয়া। এবেপারটা ব্যবহার করে আমি নিজে ৬ টা আইডি চেষ্টা করে ১০০% সফল হয়েছি। সো ডন্ট ডু দ্যাট, অবশ্য আমি তাদের দূর্বলতা চেক করার উদ্দেশ্যেই সেটা করেছি।
৫. অপরিচিত/ফেক একাউন্ট এর রিকুয়েস্ট একসেপ্ট করবেন না/ বন্ধু বানাবেন নাঃ
একটি অপরিচিত ব্যাক্তির friend রিকোয়েষ্ট কখনই এক্সেপ্ট করা উচিত না, কারন এটা আপনার জন্য পরবর্তীতে ক্ষতিকর হয়ে দাড়াবে। তাই ছবিহীন প্রোফাইল বা প্রয়োজনীয় তথ্য ছাড়া কাউকে এড করা কোন ভাবেই উচিত না।
৬. লিঙ্ক ক্লিকে সতর্কতাঃ
ধরুন আপনাকে কেউ একজন একটা লিঙ্ক দিল, কিন্তু আপনাকে সেই লিঙ্কে ক্লিক করার আগে বেশ কয়েকবার চিন্তা করা উচিত। যেমন এমন হল এটা পিশিং লিঙ্ক, বা কুকি ষ্টিলিং স্ক্রিপ্ট বা বিপদ জনক কিছু, যা আপনার যেকোন প্রাইভেসি ভাংতে পারে।
৭. ইমেইল সূরক্ষা ও এর সতর্ক ব্যবহারঃ
ইদানিং সবচেয়ে বেশি হ্যাক হয় ইমেইল এর মাধ্যমে, তাই ইমেইল এড্রেসের কোন লিঙ্কে যদি ব্যাক্তিগত তথ্য চায়, তাহলে ভুলেও সেই খানে কিছু দিবেননা, আর ফেইসবুকের হ্যাক কিন্তু ইমেইল দিয়েই করা যায়, তাই আপনার ইমেইল এড্রেসের পাশওয়ার্ডও অনেক ষ্ট্রং করবেন, নাহলেতো বুঝতেই পারছেন।
আর একটি বিষয় খেয়াল করবেন facebook link www.facebook.com/m.facebook.com এর লিঙ্ক ছাড়া আর বাকি সব লিঙ্ক ফেইক যেমন www.faceb00k.com। কি দেখতে তো একই মনে হইতাছে তাই না, কিন্তু বিপদ এখানেই
কাজেই কখনো এই ধরনের ওয়েবসাইট/মেইলে ক্লিক করবেন না। কারন এগুলো ফিশিং সাইট, যা ফেইক অর্থাৎ ভুয়া।
এই কয়েকটা পয়েন্ট কাজে লাগিয়ে আশাকরি আপনি বেশ শক্ত একটা অবস্থানে যেতে পারবেন, আপনার আইডিকে ৬০% সেফার বলতে পারবেন।
0 Comments