স্কটল্যান্ডের এক গরিব কৃষক। তার নাম ফ্লেমিং। একদিন তিনি জমিতে কাজ করছিলেন। হঠাৎ কাছের পুকুর থেকে চিৎকার ভেসে এলো, ‘বাঁচাও। বাঁ-চা-ও!’
তিনি কাজ ফেলে ছুটে গেলেন। সেখানে একটি ছোট ছেলে পানিতে হাবুডুবু খাচ্ছে। পানিতে হাত নাড়ছে আর আতঙ্কে চিৎকার করছে। কৃষক ফ্লেমিং ছেলেটাকে উদ্ধার করলেন। নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে ছেলেটা রেহাই পেল।
পরদিন সকালে একটা চমৎকার গাড়ি এসে থামল কৃষকের বাড়ির সামনে। মার্জিত পোশাক পরা এক ভদ্রলোক গাড়ি থেকে নেমে এলেন। কৃষক ফ্লেমিং যে ছেলেটিকে বাঁচিয়েছেন, ভদ্রলোক নিজেকে সেই ছেলেটির বাবা হিসেবে পরিচয় দিলেন।
‘আমি আপনাকে প্রতিদান দিতে চাই। আপনি আমার ছেলের জীবন বাঁচিয়েছেন।’ ভদ্রলোক বললেন।
‘কী বলেন না, ক্ষমা করবেন।’ জবাব দিলেন সেই কৃষক। এমন সময় তার ঘর থেকে বেরিয়ে এলো তার ছেলে।
‘এটা আপনার ছেলে নাকি ভাই ?’ ভদ্রলোকটি জানতে চাইলো।
কৃষক হাসিমুখে জবাব দিলেন, ‘হ্যাঁ, এ বড় আমার ছেলে।’
‘আমি আপনাকে একটি প্রস্তাব দিতে চাই। আমার ছেলের মতো আপনার ছেলেকেও পড়ালেখা করানোর সুযোগ আমায় দিন। যদি আপনার সামান্য গুণও যদি ওর মধ্যে থাকে
তাহলে নিশ্চয় আপনার ছেলে একদিন এমন বড় মানুষ হবে- আমরা সবাই তাকে নিয়ে অনেক গর্ব প্রশংসা করব।’
বাস্তবে কৃষক এর ছেলের সাথে সেটিই হল। কৃষক ফ্লেমিংয়ের ছেলেকে ভর্তি করানো হল পৃথিবীর সেরা স্কুলে। যথাসময়ে সেই কৃষক এর ছেলেটি স্নাতক পাস করলেন লন্ডনের মেডিকেল স্কুল সেন্ট মেরিজ হসপিটাল মেডিকেল স্কুল থেকে গভেষনার মাধ্যমে পেনিসিলিন আবিষ্কার করে সারা দুনিয়া কাপিয়ে ফেলেন তিনি পরিচিতি লাভ করলেন স্যার আলেকজান্ডার ফ্লেমিং হিসেবে।
কয়েক বছর পরের একটি দুঃখজনক কথা। পুকুর থেকে কৃষক এর দ্বারা বাচানো ভদ্রলোকের সেই ছেলেটি নিউমোনিয়ায় মারাত্মকভাবে আক্লান্ত ছিল, মর মর অবস্থা।
সে সময়ে তার প্রাণ বাঁচল কৃষক এর ছেলের আবিক্সার এর মাধ্যেমে? সেই পেনিসিলিনে।
সেই ভদ্রলোকের নাম কী? লর্ড রানডলফ চার্চিল।
তার ছেলের নাম? স্যার উইস্টন চার্চিল।
নীতিকথা : ভালো কাজের ফল অবশ্যই ভালো হয়।
মূল গল্প : হোয়াট গোজ অ্যারাউন্ড কামস অ্যারাউন্ড
0 Comments