ম্যান এন্ড ওম্যান 44.100 গ্যাস রপ্তানির ওপর যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছেনা ইউরোপ তা পরিষ্কার ফ্রান্সে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য রাষ্ট্রগুলো চলমান বৈঠকে এ ব্যাপারে কোনো ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারেনি সদস্য রাষ্ট্রগুলো মস্কোর তেল আন্তর্জাতিক বাজারে থাকবে বলে তরতর করে নামছে জ্বালানি তেলের দাম.

ফ্রান্সের ভাষায় শুরু হওয়া দুদিনের সম্মেলনে ইউ রাশিয়ার তেল ও গ্যাসের উপর নিজেদের নির্ভরতা কমানোর বিষয়টি উল্লেখ করে বিবৃতি দিলেও এ ব্যাপারে কোনো সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়নি অথচ এ ব্যাপারে একটি ঐক্যমতে পৌঁছানো ছিল এ বৈঠকের অন্যতম এজেন্ডা ইউরোপের কোন কোন দেশ 2027 সালের আগে রাশিয়ার তেল ও গ্যাস রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিতে আগ্রহী নয় অনেকে এই সময়সীমা বাড়ানোর পক্ষে তার মানে এই সময়সীমার মধ্যে রাশিয়ার তেল ও গ্যাস অবাধে কিনবেন তারা.

এতে স্বস্তির সুবাতাস বইছে বিশ্বের তেলের বাজারে লাফিয়ে লাফিয়ে ভাড়া তেলের দাম মাত্র চার দিনের মধ্যেই কমেছে 27 ডলার গত সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা ঘোষণার পর তরতর করে বাড়তে শুরু করেছিল তেলের দাম দাম উঠে যায় প্রতি ব্যারেল 139 ডলারে তবে নিষেধাজ্ঞা ইউরোপ শামিল না হওয়ায় নামতে থাকে তেলের দামের পারদ অপরিশোধিত তেলের আন্তর্জাতিক বেঞ্চমার্ক রেক্রুট প্রতি ব্যারেল মঙ্গলবার এর 130 ডলার থেকে শুক্রবার নেমে আসে 112 ডোলারে অপর বেঞ্চমার্ক ওয়েস্টবেঙ্গল ইন্টারমিডিয়েট বিক্রি হচ্ছে প্রতি ব্যারেল 109 ডলারে.

ইউক্রেন সংকট এর প্রথম থেকেই রাশিয়ার তেল ও গ্যাস রপ্তানির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা ইউরোপীয় দেশগুলো অংশ নেবে কিনা তা নিয়ে সংশয় ছিল কারণ তাদের মোট গ্যাসের চাহিদার 40% তেলের 27 শতাংশ এবং কয়লার 46% নির্ভর করে রাশিয়ার ওপর এই শীতে রাশিয়া থেকে জ্বালানী আসা বন্ধ হয়ে গেলে নজিরবিহীন সংকটে পড়তে পারে পুরো ইউরোপ.

এ পরিস্থিতিতে ইউরোপীয় নেতারা রাশিয়ার তেল ও গ্যাসের বিকল্প ব্যবস্থা করে দিতে বলেছিল ওয়াশিংটনকে তাতে যুক্তরাষ্ট্র সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রতি উৎপাদন বাড়ানোর আহবান জানায় আরবআমিরাত এই আহবানে সাড়া দিলেও এখনই নিজেদের অবস্থান পরিস্কার করেনি রিয়াদ এছাড়াও ওপেক ভুক্ত দেশগুলো জানিয়েছে তাদের কাছে রাশিয়ার বিপুল পরিমাণ তেল এর বিকল্প সরবরাহ নেই.

এতে মরিয়া হয়ে যুক্তরাষ্ট্র শেষ চেষ্টা হিসেবে তিক্ততা ভুলে বৈরী রাষ্ট্র ভেনেজুয়েলার সাথে শীতল সম্পর্ক উষ্ণ করার চেষ্টা করে কিন্তু তাতেও বরফ গলেনি প্রতিদিন বিশ্ববাজারে 70 লাখ ব্যারেল অপরিশোধিত অপরিশোধিত তেল সরবরাহ করে রাশিয়া সৌদি আরবের পর তারাই বিশ্বের বৃহত্তম তেল রপ্তানি কারক.

বিশ্ববাজারে রাশিয়ার তেল কে নিষিদ্ধ করলে তেলের দাম বেড়ে যেতে পারে অস্বাভাবিক হারে বিশেষজ্ঞরা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তেলের দাম উঠে যেতে পারে প্রতি ব্যারেল 300 ডলারে এতে শুধু রাশিয়া নয় চরম মূল্য দিতে হবে ইউরোপকে নিষেধাজ্ঞায় তেলের দামের যখন আগুন লাগে তখন ইউরোপে গ্যাস সরবরাহ বন্ধের হুমকি দেয় রাশিয়া ক্রেমলিনের এমন পাল্টা জবাবে মূলত পশ্চিমাদের উত্তেজনার পারদ বরফ শীতল হয়ে পড়ে আর তেলের বিশ্ববাজার নামতে শুরু করে. [রাইসুল ইসলাম সময় সংবাদ.]