Android কী এর ভাল দিক খারাপ দিক | এত জনপ্রিয় কেন


 Android কি:

Android একটি ওপেন সোর্স মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম বর্তমানে google এর দ্বারা পরিচালিত

বর্তমান সময়ে এন্ড্রয়েড সম্পর্কে জানেনা এমন মানুষ বিরল! সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় এবং সব থেকে বেশি ব্যবহৃত একটি সিস্টেম। এই এন্ড্রয়েড এ যেমন ভালো দিক রয়েছে, তেমনি কিছু খারাপ দিক রয়েছে।

Android Apps:

 বর্তমান সময়ে Technology এর উন্নতি খুব দ্রুত গতিতে হচ্ছে যোগাযোগ মাধ্যেম থেকে শুরু করে সব কিছুই Technology এর আওতায় যা আপনার Android phone এর মাধ্যেমে আর সহজ করে দিয়েছে Android App, আমরা চাইলেই Google playstore এর মাধ্যেমে নিজের প্রয়োজন অনুযায়ী   Apps Download করে নিতে পারি।

Android for gaming :

বর্তমানে কিশোর কিশোরী অনেকেই Android Game এর প্রতি সময় দেন অবসর সময়ে খেলতে ভালোই লাগে, play store এ গেলেই তো হাজার হাজার গেম।বর্তমানে Android gameing এর জন্য যেমন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ঠিক তেমনি ফটোগ্রাফির ক্ষেত্রেও বিশেষ ভুমিকা রাখছে। ভিডিওগ্রাফিতেও বেশ এগিয়ে। বিশ্বের প্রায় সব দেশেই এন্ড্রোয়েড এর জনপ্রিয়তা বেড়েই চলেছে! কোনো এক সময় এন্ড্রোয়েড কি জিনিস তা মানুষ জানতো না, কিন্তু বর্তমানে এতো বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে যে, ছোট থেকে বড় অবধি সবাই পরিচিত এই সিস্টেমের সাথে।

Android এর ব্যবহার

আমাদের সমাজে প্রায় ৯৯% মানুষ Android ব্যবহার করছেন। যোগাযোগ থেকে শুরু করে ডাটা সঞ্চয় করা সহ বিভিন্ন কাজ করা যায় এই এন্ড্রোয়েড ডিভাইসের মাধ্যমে। internet ব্রাওজিং এর ক্ষেত্রেও বিশেষ ভুমিকা রাখছে এই অপারেটিং সিস্টেম। Google map সহ আরো অনেক ইন্টারনেট ভিত্তিক সুযোগ সুবিধা দিচ্ছে এই এন্ড্রয়েড সিস্টেম।


Android এর ভালো দিক

এন্ড্রয়েড এর ভালো দিক গুলোর মধ্যে, এই সিস্টেমটিতে বর্তমানে ফাস্ট চার্জিং ব্যবস্থা দেয়া হচ্ছে, যাতে ১৮ ওয়াড থেকে ৫০ ওয়াড এবং কিছু কিছু ডিভাইসে ৮০ ওয়াড পর্যন্ত এই ফাস্ট চার্জিং ব্যবস্থাটি দেয়া হচ্ছে। এন্ড্রোয়েডে ব্লুটুথ সুবিধা সহ রয়েছে internet,information finding,video calling,comunication,ওয়াইফাই, ওয়াইফাই ডিরেক্ট এবং হটস্পট সুবিধা। ক্যামেরা রেজুলেশন বেশ উন্নত হচ্ছে দিন দিন এই অপারেটিং সিস্টেমটির।


ভিডিওগ্রাফিতেও বেশ ভালো ভালো ফিচার দেয়া হচ্ছে, স্লোমোশন থেকে শুরু করে আরো অনেক ফিচার, যা ভিডিওগ্রাফিকে অনেক মসৃণ করে তোলে। অনেকে youtube video making করে Android এর মাধ্যেমে এক কথায় বলতে গেলে, এতো পরিমাণে ফিচার দেয়া হচ্ছে যা একজন এন্ড্রয়েড ব্যবহার কারির জন্য যথেষ্ট।

Android ডিভাইস 

এন্ড্রয়েড সিস্টেমের মধ্যে সব থেকে বেশি পরিচিত ডিভাইসের মধ্যে samsung এগিয়ে! এরপর রয়েছে শাওমি, ওপ্পো, হাওয়াই, সনি, নোকিয়া, গুগল স্মার্টফোনসহ আরো অনেক ডিভাইস….।

প্রত্যেকটি ডিভাইসের ভিন্নতা রয়েছে।

একটি অন্যটির সাথে পাল্লাদিয়ে তৈরি করতেছে নতুন নতুন সব অত্যাধুনিক জনপ্রিয় ফিচার।


ভালো ভালো কম্পানির সাথে সাথে পাল্লা দিয়ে বাজারে নিয়ে আসছে চাইনিজ কিছু এন্ড্রোয়েড ডিভাইস, যা খুব সস্তা দামে পাওয়া যায়, যাতে ফিচার দেয়া হয় খুবই নিম্ন মানের এবং এতে ঝুকিও রয়েছে বেশ, এই সমস্ত নিম্ন মানের এন্ড্রোয়েড থেকে দূরত্ব বজায় রাখাই বাঞ্চনিয়।


দিন দিন এন্ড্রয়েড যেমন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে, তেমনি তার দামও মানুষের সাদ্ধের ভেতর রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছে এই অপারেটিং সিস্টেমের মালিকরা। এন্ড্রয়েড ছাড়া বর্তমানে চলাটাও দুষ্কর হয়ে পরেছে! কারণ, যেকোনো কাজে কর্মে এই এন্ড্রয়েড এর রয়েছে বিশাল অবদান।

Android এর খারাপ দিক

এন্ড্রয়েড এর কিছু খারাপ দিকের মধ্যে, আমরা সাম্প্রতি সময়ে দেখেছি যে, কিছু কিছু এন্ড্রয়েড বিষ্ফোরণ হওয়ার ঘটনাও শুনেছি, কারণ জানা গিয়েছে যে, এইসব কম্পানি গুলো তাদের ডিভাইসে ব্যবহৃত ব্যাটারি সঠিক ভাবে কার্যকর করতে সক্ষম হয়নি, যার কারণে এমনটি ঘটেছে, অনাকাঙ্খিত সোর্স থেকে কোন কিছু ডাউনলোড করলে ম্যালওয়ার এর সমস্যা দেখা দেয়।


শিশুরাও দিন দিন ঝুকে পরছে এই এন্ড্রয়েডের প্রতি, তবে শিশুদের থেকেও বেশি ঝুকে পরছে তরুণ, কিশোর কিশোরীরা। কারণ তাদের সাদ্ধের মধ্যে থাকায় তারা এই এন্ড্রয়েড এর প্রতি দুর্বল হয়ে পরছে, যেনো তাদের দিন চলেই না, এই ডিভাইস ছাড়া।


তাইতো সমাজে সহিংসতা বেড়েই চলেছে!

সারাদিন মুঠোফোন হাতে নিয়ে পরে থাকা যেনো যুবক যুবতিদের স্বভাবে পরিনত হয়ে গিয়েছে…!

স্কুল ফাকি দেয়া থেকে শুরু করে যেকোনো ধরনের

খারাপ নেশায় লিপ্ত হচ্ছে এই তরুণ সমাজ।


আমাদের করনিও হলো, এই ডিভাইসটি যথাসাদ্ধ শিশু কিশুরদের নাগালের বাহিরে রাখা, এবং সচেতন হয়ে উঠা, যেনো এই ডিভাইসটি কেও খারাপ কাযে ব্যবহার করতে না পারে।

যেহেতু প্রত্যেকটি জিনিসের দুইটি দিক রয়েছে, একটি ভালো দিক, অন্যটি খারাপ দিক, তাই আমাদের উচিৎ, ভালো দিক গ্রহণ করা এবং খারাপ দিক বর্জন করা।


মানুষ পারেনা এমন কোনো কাজ নেই, প্রত্যেকটি কাজই মানুষের সাদ্ধের ভেতরে সীমাবদ্ধ।

তাই আমাদের প্রত্যেকের করণিও হলো, এই এন্ড্রয়েড ডিভাইসটি সঠিক কাজে লাগানো এবং এর সঠিক ব্যবহার।