সেই প্রাচীন আমল থেকে গাছ - গাছড়ার ব্যবহার মানুষকে রেখেছে সুস্থ্য - সবল । গাছ - গাছড়ার ব্যবহার করে নানা বিধ রােগ যে প্রতিরােধ এবং নিরমূল করা যায় তা আমরা সবাই কম বেশী জানি । আজকের এই জ্ঞান বিজ্ঞানের যুগে আমরা যে সকল ঔষধ গ্রহণ করি , তার সবই কোন না কোন গাছ - গাছড়ার উপাদান সমৃদ্ধ । শরীর - রােগ - ত্বক সম্পর্কিত বিভিন্ন পণ্যের বিজ্ঞাপনেও আমরা দেখতে পাই এসকল গাছ গাছড়ার কথা । যেহেতু সরাসরি এসকল গাছ - গাছড়ার ব্যবহার অনেক উপকারী , তাই আমরা সম্পূর্ণায় আজকে হাজির হয়েছি নিমপাতা এবং তুলসি পাতার কিছু গুনাগুন নিয়ে , যা ধারাবাহিক ভাবে আগামীতেও প্রকাশিত হবে । তাে আমরা আজকে দেখে নেই নিমপাতা ও তুলসি পাতার কিছু গুনাগুন ।
নিমপাতাঃ
১. প্রতিমাসে অন্তত একদিন নিমপাতা বেটে সারা শরীরে মাখলে নানা রােগ জীবানু দূর হয় ।
২. ২০-২২ টি নিমপাতা ২৫ গ্রাম কাঁচা হলুদের সাথে বেঁটে শরীরে মাখলে চর্মরােগ হয় না । সাথে সাথে ত্বক উজ্জ্বল ও মােলায়েম হয় । সপ্তাহে অন্তত একদিন এটা ব্যবহার করা উচিত ।
৩. এক চা চামচ নিমপাতা গুড়া ও এক চা চামচ মধু এক সাথে মিশিয়ে সকালে খালি পেটে খেলে কৃমি ও আমাশয় রােগ প্রতিরােধ হয় ।
৪. প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এক চা চামচ নিমপাতার রস এক চা চামচ কাঁচা হলুদের রস এক সঙ্গে বেটে রস করে খেলে রক্ত পরিস্কার হয় , বায়ুপিত্ত , এবং কফ নাশ করে । এতে চোখের দৃষ্টি শক্তিও বৃদ্ধি পায় ।
৫. নিম গাছের ডাল দিয়ে দাঁত মাজলে দাঁত শক্ত হয় এবং দাঁত দিয়ে রক্ত পড়া রােগের উপশম হয় ।
তুলসি পাতাঃ
১. গােসল করবার আগে কিছু তুলসি পাতা পানিতে দিয়ে কিছু সময় পর সেই পানি দিয়ে গােসল করলে কোন প্রকার চর্ম রােগ হয় না ।
২. খাবার পানির পাত্রে তুলসি পাতা দিয়ে সেই পানি পান করলে উদর সংক্রান্ত বিভিন্ন রােগ প্রতিরােধ হয় ।
৩. তুলসি পাতা চিবালে দাঁতে পােকা লাগে না ।
৪. তুলসি পাতার রস দেহে মালিস করলে হাড় শক্ত হয়।
৫. তুলসির গন্ধ রক্তবিকার নাশ করে । ি
৬. চোখ উঠলে তুলসি পাতার রস ও সামান্য মধু এক সাথে ফেটে কাজলের মত করে লাগালে চোখ ওঠা , চোখ থেকে পানি পড়া সহ বিভিন্ন চোখের রােগের আরগ্যো হয় ।
0 Comments