সুস্বাস্থ্য পাবার জন্য ১০ টি করণীয় বিষয় 

 

সুস্বাস্থ্য পাবার জন্য ১০ টি করণীয় বিষয়

সুস্বাস্থ্য আমাদের সবার কাম্য । কেননা স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল । স্বাস্থ্য ভালাে থাকলে মনও ভালাে থাকে । স্বাস্থ্য খারাপ হলে না মন ভালাে থাকে , না কোনাে কাজে মন বসে । একটি আর একটির সাথে ওতপ্রত ভাবে জড়িত । আবার এ স্বাস্থ্যই যদি প্রয়ােজনেরচে ' বেশি হয় তখন দেখা দেয় নানা ধরনের সমস্যা । অল্পতেই চলে আসে ক্লান্তি । আর স্বাস্থ্য বাড়ার সাথে সাথে দেখা দেয় আরেক সমস্যা তা হলাে মেদ , চর্বি ! কয়েক বছর আগের জামাও দেখা যায় শরীরে আনফিট । এগুলা থেকে মুক্তির জন্য , ফিট থাকার জন্য যদিও আমরা ডায়েট চার্ট ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকি ; 

আর সেটা দু ' দিন করে তিন দিনের দিন অনুসরণ করা হয়ে উঠেনা । সেই ফাস্ট ফুড , তৈল জাতীয় খাবার দেখলে লােভ সামলানাে দায় হয়ে দাঁড়ায় ! তবুও নিজেকে ফিট , স্লিম দেখার জন্য এসব লােভ গুলাে কে বিসর্জন দেয়াটা জরুরী । পাশাপাশি কিছু ইন্সট্রাকশন ফলাে করলেই সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হওয়া যায় । এবং নিজেকে ফিট করে তােলা যায় । 

নিচে কিছু উপায় দেয়া হলােঃ 

১. আপনার স্লিম ছবি তৈরী করুনঃ

সর্ব প্রথম যেটা করা উচিত তা হলাে নিজের সবচে ' স্লিম ছবিটা ফ্রেমে করে নিজের রুমের এমন জায়গায় রাখা যেন সহজেই চোখে পড়ে । এতে করে মনের মধ্যে একটা দৃঢ়তা আসে । একটা আত্মবিশ্বাস আসে চাইলে এবং চেষ্টা করলে ঠিক স্লিম ও ফিট হওয়া যায় । এটা আসলে মানসিক শান্তি ও আত্মবিশ্বাসের জন্য । 

২. সুস্বাস্থ্য পেতে গ্রীণ টি পান করুনঃ

 

প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে এবং রাতে ঘুমানাের আগ মুহূর্তে অতি অল্প সময়ের মধ্যে তৈরি করে গ্রীণ টি পান করা যায় । এতে শরীরের মেটাবলিক ও ঠিক থাকে ঘুমের সময় ও ক্যাফেইনের পরিমাণও অতি নগণ্য । এটাতে থাকে প্রচুর পরিমাণে এন্টি - অক্সিডেন্ট । যা রাখবে শরীরকে তারুণ্যসুলভ । 

৩. সুস্বাস্থ্য পেতে হাটাহাটি ও সকালের খাওয়াঃ

প্রতিদিন সকালবেলা ৩০ থেকে ৪৫ মিনিট হাঁটার পর বাসায় এসে নাস্তা করা । অতিরিক্ত খাবার যেমন ওজন বাড়ার সহায়ক ঠিক তেমনই স্বল্পতায় শরীর দুর্বল হয় । আর তাই হাঁটার পর বাসায় ফিরেই নাস্তা করে নিতে হবে । খুব ব্যস্ততা বা ক্ষুধামন্দা দেখা দিলে কয়েক টুকরাে ফুটস এবং কাজু বাদাম খেয়ে নিলেও হবে । সুস্বাস্থ্যতার জন্য সকালের খাবার বেশ জরুরী ।

৪. ওজন বৃদ্ধিকারক খাবার বাদ দিনঃ 

ক্যাফেইন , বিশােধিত চিনি , অ্যালকোহল , অতি মিষ্টি জাতীয় খাবার গুলাে ফিট থাকার জন্য প্রাত্যহিক খাবার তালিক থেকে ত্যাগ করতে হবে । ওজন বৃদ্ধিতে এগুলাের অবদানের শেষ নাই ! 

৫. সুস্বাস্থ্য এর জন্য বাদাম খানঃ 

কাজু বাদাম উপকারী তবে রােস্টেড ও সল্টেড বাদাম খেলে ওজন বৃদ্ধি পায় । অর্থাৎ প্যাকেটজাত বাদাম খাওয়া মানেই ওজন বৃদ্ধি করা । তাই এগুলা থেকে দূরে থাকা উচিত । 

৬. শসা খানঃ 

সারাদিনই দেখা যায় এটা ওটা খেতে থাকি । আর এসব খাবারের মধ্যে শসাটাও কেও রাখা দরকার । যত খুশি খাওয়া যায় । শসা ডায়েটের ক্ষেত্রে খুবই উপকারী । এর ফলে ফ্যাট অনেকাংশ কমে যায় ।

৭. ইসূবগুলের ভুষিঃ 

প্রতিদিন রাতে ঘুমানাের আগে কুসুম গরম পানির সাথে ১ চামচ ইসুবগুলের ভুষি মিশিয়ে খেতে হবে । এর ফলে ঘুম ভালাে হয় এবং শরীর সতেজ থাকে । এটি ওজন কমাতেও সহায়ক । 

৮. লবণ খাওয়ায় সাবধানঃ 

ভাতের সাথে লবণ খাওয়াটা একেবারেই অনুচিত । সােডিয়াম শরীরের জন্য ক্ষতিকর । তাই লবণের পরিবর্তে বিট লবণ খাওয়া যেতে পারে । এতে করে ডায়েট এও কোনাে সমস্যা হয়না এবং শরীর থাকে ফিট । 

৯. প্রাণ খুলে হাসুনঃ 

স্বাস্থ্য ভালাে রাখা ও ফিট থাকার আরেক টি উপায় হলাে হাসিখুশি থাকা । হাসিখুশি থাকলে দেহ ও মন ও ভালাে থাকে এবং উচ্চস্বরে হাসি ওজন কমাতেও সহায়তা করে । এর ফলে ক্যালরি কমে । 

১০. রাত্রের খাবারঃ 

অধিক রাতে খাবার খেলে তা অবশ্যই সব সময় হালকা খাবার হওয়া উচিত । সবচে ' ভালাে হয় রাতের খাবার ৮ টার মধ্যে শেষ করা । আপনি যদি ইতিমধ্যেই কোন ডায়েট চার্ট অনুসরণ করে থাকেন ; তাহলে জানেন তা আসলে বেশীদিন অনুসরণ করা কতটা কঠিন । 

কিন্তু এখানে বর্ণিত সকল জিনিষই আমরা খুব সহজেই আয়ত্ব করতে পারি । তাই , দেরী না করে এখন থেকেই এগুলি চর্চা শুরু করে দিন ; আর হয়ে উঠুন সুস্বাস্থ্য এর অধীকারী ।