আমলকী এর বিভিন্ন উপকারী দিক সমূহ
আমলকী দূর করে গলা ক্ষতঃ
গলার মধ্যে ক্ষত অর্থাৎ গ্রীবার উপরিভাগে বা উপরে ক্ষত হলে , ঠান্ডায় সময় গলা ব্যথা বেশি বেড়ে গেলে আমলকি ব্যবহারে উপকার পাওয়া যায় দুই চা চামচ আমলকির পাউডার কে দুই চা চামচ মধুর সাথে ভালোভাবে মিশিয়ে দিনে ৩/৪ বার খেলেই ব্যথা সেরে যাবে ।
ভিটামিন সিঃ
আমলকীতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি । তাই কৃত্রিম ভাবে তৈরী ভিটামিন সি এর ট্যাবলেটের পরিবর্তে একটি করে আমলকী খেলে তা ঐ ট্যাবলেটের থেকে ভালাে কাজ করবে ।
কোষ্ঠবদ্ধতা কমাতেঃ
প্রতিদিন এক টুকরাে আমলকী খাওয়ার ফলে কোষ্ঠবদ্ধ দূর হয় । তবে আমলকী পাউডার কিংবা জুস খেলে হবে না ; এক টুকরাে খেতে হবে ।
মুখের ঘা দূর করণেঃ
মুখের ভিতর ঘা দিয়ে ভরে যাচ্ছে ? এই সমস্যার জন্য আমলকী সবচে ' বেস্ট । আমলকীর জুস কে আধ গ্লাস পানির সাথে মিশিয়ে সেটা দিয়ে গসোল করলে ঘা কমে যায় ।
ঘুমের সমস্যা রােধ করতেঃ
দীর্ঘ দীর্ঘ রাত জেগে কাটানাে হয় । কোনাে কাজ নেই তবু ঘুম আসেনা । বিছানায় এপাশ ওপাশ ফিরলেও । যাকে আমরা বলি ইনােসমােনিয়া । আর এটি দূর করতেও আমলকীর জুড়ি নেই । ঘুমানাের আগে এটি খেলে এটি ইনােসমােনিয়া দূর করে ।
চোখের উপকারেঃ
আমলকী চোখের জন্য অনেক উপকারী । আধা কাপ পানির সাথে দুই টেবিল চামচ আমলকীর জুস মিশিয়ে প্রতিদিন খাওয়ার ফলে চোখের পানি পরা , চোখ লালচে হয়ে যাওয়া এগুলাে রােধ পায় । ওজন কমাতেঃ আমলকীফল ওজন কমাতে সহায়তা করে এবং এর ফলে মেটাবােলিজম বৃদ্ধি পায় ।
রােগদমন করতেঃ
আমলকীর জুস খাওয়ার ফলে ক্যান্সারের মতাে নানান জটিল রােগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায় ।
এসিডিটি দূরকরণেঃ
এটি এসিডের ব্যালান্স পরিমিত রাখে এবং এসিডিটি দূর করে ।
হিমােগ্লোবিনের পরিমাণ বৃদ্ধিঃ
এটি হিমােগ্লোবিনের পরিমাণ বৃদ্ধি করে এবং রক্তকণিকা বিশুদ্ধ রাখে । কোলেস্টেরল কমাতেঃ অধিক কোলেস্টেরল ফলে হার্ট এটাক , স্ট্রোক হয়ে থাকে । তাই রাতে ঘুমানাের পূর্বে এক গ্লাস পানির সাথে ৫০০ গ্রাম আমলকী - পাউডার মিশিয়ে খেলে কোলেস্টেরল কমে ।
আমলকীর তেলঃ
আমলকীর তৈরি তেল চুলের জন্য অনেক বেশি উপকারী । এটি নিয়মিত ব্যবহারের ফলে-
১. চুল ঝরা কমে যায় ।
২. চুলের বাদামী বা লালচে ভাব দূর হয় ।
৩ . চুল হয় ঘন ও কালাে ।
৪. চুল দ্রুত বৃদ্ধি পায় ।
৫. চুলকে রাখে খুশকি মুক্ত ।
৬. চুলে ফিরিয়ে আনে চাকচিক্য ।
0 Comments