দাঁতের কালাে দাগ : সমস্যা , সমাধান
দাঁত থাকুক সুন্দর , ঝকঝকে , রােগমুক্ত ; কে না চায় এমন । কিন্তু হয়ে উঠে কি ? কথায় বলে দাঁত থাকতে দাঁতের মর্জাদা বুঝে না । এটাই হয় মূলত । সাধারণত দেখা যায় দাঁতের চিকিৎসা সময় মত না করানাের ফলেই দাঁতের যত সমস্যার শুরু হয় । সময় মত চিকিৎসা করালে যে সমস্যা কোন সমস্যাই না , অসময়ে চিকিৎসা করাতে গেলে ঐ সমস্যাই বড় সমস্যা হয়ে দাড়ায় ।
দাঁতে কালাে দাগ : সমস্যা , সমাধানঃ
অনেকেরই দেখা যায় দাঁতের মাড়ির ওপর কালাে দাগ পড়েছে । আর সেখানে প্রচন্ড ব্যাথা , গর্ত হওয়া বা ফাঁকা হওয়া , রক্ত পড়া সহ বিভিন্ন সমস্যা হচ্ছে । এক্ষেত্রে আমরা অনেকেই দাতে লবন এবং সরিষার তেল দিয়ে দাঁত মাজি । কিন্তু ডাক্তারদের মতে এটা করা ঠিক নয় । বরং দাঁতে কালাে দাগ দেখা দেবার সাথে সাথে আমাদের যা করা উচিৎ তা হলাে একজন দাঁতের ডাক্তার দেখানাে ।
মূলত দাঁতে কালাে দাগ দেখা মানে হচ্ছে এটি দাঁত ক্ষয়ের প্রাথমিক পর্যায়ের সমস্যা । প্রথম অবস্থাতেই এটির চিকিৎসা করালে এবং বিশেষজ্ঞ দ্বারা ফিলিং করিয়ে নিলে ভবিষ্যতের ব্যয়বহুল রুট ক্যানেল করানাের মত ঝামেলা এড়ানাে যায় সহজেই ।
আর আপনি যদি সময় মত দাঁতের এই কালাে দাগ দূর করে ফিলিং করান , তাহলে দাঁতে অ্যাপিক্যাল অ্যাবসেস হওয়ার ঝুঁকি থাকে না । আর না করালে এবং অ্যাপিক্যাল অ্যাবসেস হলে রুট ক্যানেল করে ফিলিং করালে যদিও দাঁত রক্ষা করা যায় , কিন্তু তা খুবই ব্যয়বহুল ।
কিছু নিয়ম মানুনঃ
দাঁতের নিয়মিত সুরক্ষার জন্য আমাদের কিছু নিয়ম মেনে চলা উচিৎ । এগুলি মেনে চললে অনেকাংশেই আমরা আমাদের দাঁতকে রাখতে পারবাে ঝকঝকে সাদা , রােগমুক্ত ।
১. প্রতিদিন সকালের নাস্তার পর , এবং রাত্রে ঘুমাবার আগে দাঁত ব্রাশ করুন .
২. দিনে মাত্র একবার দাঁতব্রাশ করলে তা অবশ্যই রাত্রে ঘুমাবার আগে
৩. দেড় থেকে দুমিনিট দাঁত ব্রাশ করা শ্রেয় , এর বেশী বা কম নয়।
৪. ফ্লস দিয়ে দাঁতের ফাঁকার মধ্যে জমে থাকা ময়লা পরিস্কার করতে পারেন .
৫. যে কোন মিষ্টি জাতীয় খাবার , চকলেট , চুইংগাম , কেক , ফাস্টফুড খাবার পর অবশ্যই পানি দিয়ে ভালাে ভাবে কুলকুচি করবেন
৬. মাউথওয়াশ ব্যবহার করতে পারেন , তবে টানা ব্যবহার করবেন না , ৪/৫ দিন ব্যবহারের পর আবার ৪/৫ দিন ব্যবহার বাদ দিন
৭. অতিরিক্ত ফ্লুরাইড ব্যবহার করে এমন টুথপেষ্ট লম্বা সময় ব্যবহার করবেন না , এতে আপনার দাঁতে সাদা দাগ পড়া সহ ভেঙ্গে যেতে পারে
৮. সঠিক পদ্ধতিতে দাঁত ব্রাশ করবার নিয়মটি আপনার দাঁতের ডাক্তারের কাছ থেকে ভালাে ভাবে শিখে নিন .
৯. দাঁতে সমস্যা থাকুক বা না থাকুক , বছরে অন্তত ২/১ বার দন্ত চিকিৎসককে দেখানাে উচিত।
আশাকরি উপরের তথ্য গুলি আপনাদের সকলের কাজে লাগবে । আর আপনার কাছে যদি আরও কোন তথ্য থেকে থাকে , কিংবা আমাদের লেখার মধ্যে কোন অসামঞ্জস্যতা খুজে পান , অবশ্যই আমাদের জানাবেন। আর আপনার কোন প্রশ্ন থাকলেও আমাদের জানাতে ভুলবেন না ।
0 Comments